Tuesday, September 1, 2015

কেয়ামতের পূবেৃ নারীদের সংখ্যা হইবে পুরুষদের পঞ্চাশ গুণ বেশী



নারীদের  সংখ্যা  হইবে  পুরুষদের  পঞ্চাশ  গুণ  বেশী
মহানবী (সা:)  কেয়ামতের  যে-সব  আলামতের  কথা  বলিয়া  গিয়াছেন  তাহার  একটি  হইল,  পুরুষদের  সংখ্যা  মারাত্মকভাবে  কমিয়া  যাইবে,  এমনকি  পঞ্চাশজন  নারীর  রক্ষণাবেক্ষন  করিতে  হইবে  মাত্র  একজন  পুরুষকে ।  হ্যাঁ,  পুরুষদের  সংখ্যা  ইতিমধ্যেই  আশংকাজনকভাবে  কমিতে  শুরু  করিয়াছে ।  কিছুদিন  পূর্বে  আমি  মালয়েশিয়ার  রাজধানীর  বাইরের  একটি  ইউনির্ভাসিটিতে  লেকচার  দিতে  গিয়েছিলাম।  আমার  শ্রোতাদের  মধ্যে  দেখলাম  ছাত্রদের  চাইতে  ছাত্রীদের  সংখ্যা  তিনগুণ  বেশী ।  দাজ্জাল  মোবাইল  নেটওয়ার্ক,  ওয়াই-ফাই  নেটওয়ার্ক  আবিষ্কার  করিয়াছে  পুরুষদের  সংখ্যা  হ্রাস  করিবার  জন্য ।  ডাক্তারদের  মতে,  মোবাইল  নেটওয়ার্ক  এবং  ওয়াই-ফাই  নেটওয়ার্ক  থেকে  যে  রেডিয়েশান  ছড়ায়,  তাহা  পুরুষদের  শুক্রাণুর  ক্ষতি  করিয়া  থাকে ।  ফলে  এখনকার  পুরুষরা  ধীরে  ধীরে  পুত্র  সন্তান  জন্ম  দিতে  অক্ষম  হইয়া  পড়িতেছে ।  তাহারা  অধিক  সংখ্যায়  কন্যা  সন্তান  জন্ম  দিতেছে ।  আসন্ন  তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধে  যত  এটম  বোমার  বিস্ফোরণ  ঘটিবে,  কেউ  কেউ  বলেন  মোবাইল  নেটওয়ার্কের  কারণে  তাহাদের  রেডিয়েশান  বহুদূর  পর্যন্ত  ছড়াইয়া  পড়িবে ।  এমনটা  কেন  ঘটিবে  তাহা  পদার্থ  বিজ্ঞানে  বিশেষজ্ঞরা  ভাল  বলিতে  পারিবেন ।  আমি  পদার্থ  বিজ্ঞানে  বিশেষজ্ঞ  নই ।  কাজেই  আসন্ন  মালহামায় / তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধে  একদিকে  পুরুষরা  বিপুল  সংখ্যায়  মৃত্যুবরণ  করিবে,  আবার  অন্যদিকে  জীবিত  পুরুষরা  পারমাণবিক  রেডিয়েশানের  শিকার  হওয়ার  কারণে  পুত্র  সন্তান  জন্ম  দিতে  একেবারেই  অক্ষম  হইয়া  পড়িবে ।  তাহারা  কেবল  কন্যা  সন্তান  জন্ম  দিতে  থাকিবে ।  মহানবী (সা:)  বলিয়াছেন,  একজন  পুরুষকে  পঞ্চাশ  জন  নারীকে  দেখভাল  করিতে  হইবে ।  তিনি  বলেন  নাই  যে,  একজন  পুরুষকে  পঞ্চাশ  জন  নারীকে  বিবাহ  করিতে  হইবে ।  বিবাহ  সর্বোচ্চ  চারটি  পর্যন্তই  হালাল,  চারের  অধিক  হারাম ।  সে  সময়  একজন  পুরুষ  দেখিতে  পাইবে  যে,  তাহার  মাতা  বিধবা  হইয়া  গিয়াছে,  তাহার  বোন  বিধবা  হইয়া  গিয়াছে,  তাহার  কন্যা  বিধবা  হইয়া  গিয়াছে  অথবা  তাহার  বোনের / কন্যার  জন্য  স্বামী  পাওয়া  যাইতেছে  না ।  সে  আরো  দেখিতে  পাইবে  তাহার  একাধিক  খালা-ফুফু-মামী-চাচী-ভাগ্নি-ভাতিজী-কন্যা-নাতণী-শ্যালিকা-খালাতো  বোন-মামাতো  বোন-ফুফাতো  বোনা-চাচাতো  বোন  ইত্যাদি  সকলেই  বিধবা  হইয়া  গিয়াছে ।  সুতরাং  তাহাকে  একাই  সকলের  দেখাশুনা  রক্ষণাবেক্ষন  অভিবাবকত্ব  করিতে  হইবে ।  সুতরাং  আমি  মনে  করি,  নারীদের  সংখ্যা  পঞ্চাশ  গুণ  বৃদ্ধি  পাইবে-  বিশ্বনবীর (সা:)  এই  ভবিষ্যতবাণী  বাস্তবায়িত  হইতে  আর  বেশী  দিন  বাকী  নাই । 

মূল -  মাওলানা  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস
আর  কতো  ঘুমাবেন  এবার  জেগে  ওঠুন
ইরানের  ওপর  ইজরাঈলী  হামলা  এখন  সময়ের  ব্যাপার  মাত্র ।  আর  এই  ঘটনা  হইতে  পারমাণবিক  যুদ্ধের (তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধের)  সূচনা  হইবে ।  আর  পারমাণবিক  যুদ্ধের  পরে (অর্থাৎ  হাজার  হাজার  এটম  বোমা  নিক্ষিপ্ত  হওয়ার  পরে)  আপনারা  যেই  পৃথিবীকে  দেখিবেন,  তাহা  হইবে  সম্পূর্ণ  ভিন্ন  এক  পৃথিবী ।  

ইয়াজুজ-মাজুজের আক্রমণ শুরু হইয়াছে
আজ বিশ বছর যাবত আমি বলিতেছে যে, ইয়াজুজ-মাজুজের আক্রমণ শুরু হইয়া গিয়াছে এবং বর্তমানে সারাবিশ্বে ইয়াজুজ-মাজুজের শাসন চলিতেছে । কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট আলেম সম্প্রদায় আমার মতামতকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছে । তাহারা বলেন, নাহ, ইয়াজুজ-মাজুজ এখনও মুক্তি পায় নাই । কিভাবে বুঝলেন ইয়াজুজ-মাজুজকে ছাড়িয়া দেওয়া হয় নাই ? কারণ হাদীসে বলা হইয়াছে, ঈসা (আঃ) ফিরিয়া আসিবার পরে ইয়াজুজ-মাজুজকে মুক্তি দেওয়া হইবে । মাত্র একটা হাদীসের জন্য মাত্র এ-ক-টা হাদীসের জন্য আপনারা ইয়াজুজ-মাজুজ সংক্রান্ত কোরআনের সকল আয়াত অস্বীকার করিলেন ? কোরআনকে অপমান করিবার জন্য আপনাদেরকে একদিন ভয়াবহ মূল্য দিতে হইবে কিন্তু তখন আর করিবার কিছু থাকিবে না । ঈসা (আঃ) সংক্রান্ত এই  হাদীসের অর্থও তো আপনারা ভূল বুঝিয়াছেন ।  ইয়াজুজ-মাজুজকে বুঝতে হইলে আপনাদেরকে কোরআনের নিকট আসিতে হইবে । এখনও কি আপনারা বিরিয়ানী খাইবেন আর ঘুমাইয়া থাকিবেন ? কোরআনে আল্লাহ বলিতেছেন, “ইয়াজুজ-মাজুজ সমগ্র  পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে” । বর্তমানে তো সারা দুনিয়ায় বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়িয়াছে । রাজনীতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, অর্থনীতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, কৃষিকাজে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে, নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি হইয়াছে । রাসুলে করীম (সাঃ) বলিয়াছেন, “ইয়াজুজ-মাজুজ সকল পানি পান করিয়া নিঃশেষ করিয়া ফেলিবে”। ইহাতো  একটি  রূপক  বর্ণনা ।  ইহার  অর্থ  হইল  ইয়াজুজ-মাজুজ  পানি  মাত্রাতিরিক্ত  বেশী  খরচ  করিবে,  অপচয়  করিয়া  ঘাটতি  ফেলিয়া  দিবে ।  পৃথিবীর সকল নদীগুলি কি ধীরে ধীরে শুকাইয়া যাইতেছে না ? এমনকি ইয়াজুজ-মাজুজ পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি (global  warming) করিয়া পানির মূল ভাণ্ডার মেরু অঞ্চলের সমস্ত বরফকে গলাইয়া দিতেছে । উদ্দেশ্য একটাই, পৃথিবীর কোথাও যেন পান  করিবার  মতো  বিশুদ্ধ  পানি  না  থাকে ।  তখন আপনাকে পানির জন্য ইজরাইলকে সিজদা দিতে হইবে নতুবা পানির অভাবে মরিতে হইবে । দাজ্জালের মহাপরিকল্পনার কথা নবী করিম (সাঃ) ফাঁস করিয়া দিয়া গিয়াছেন । সেই হাদীসটির কথা আপনারা সবাই জানেন ।  বিশ্বনবী (সাঃ) বলিয়াছেন, “এক বছর বৃষ্টিপাত এক-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য এক-তৃতীয়াংশ কম উৎপাদিত হইবে । দ্বিতীয় বছর বৃষ্টিপাত দুই-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য দুই-তৃতীয়াংশ কম উৎপন্ন হইবে । তৃতীয় বৎসর কোন বৃষ্টিপাত হইবে না, ফলে সেই বছর কোন ফসল উৎপাদিত হইবে না ।” আমি মনে করি, এই ঘটনা ঘটিবে মালহামার (মহাযুদ্ধ, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ) পরে ।  পারমানবিক  রেডিয়েশান  থেকে  পৃথিবীর  জলবায়ুর  মারাত্মক  সর্বনাশ  হওয়ার  কারণে  এই  অবস্থা  হইবে ।  এজন্য তাহারা পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধের উষ্কানী দিতেছে । আমরা যদি তখন বাঁচিয়া থাকি তবে খাবার-পানির জন্য হয় ইসরাইলের নিকট মাথা নত করিতে হইবে নতুবা খাবার-পানির অভাবে মৃত্যুবরণ করিতে হইবে ।  আল্লাহ আমাদের সমস্যার সমাধান করিবেন না । কারণ আমরা বেশী বেশী অপচয় করিবার মাধ্যমে আল্লাহর অমূল্য নেয়ামতকে (খাবার-পানি) অর্মার্জনীয়ভাবে  তাচ্ছিল্য করিয়াছি । অন্য সকল ক্ষেত্র বাদ দিয়া কেবল অজুর কথাই যদি বলি, দেখা যাইবে ইহাতে  মহানবী (সাঃ)-এর তুলনায় আমরা অন্তত বিশ হইতে পঞ্চাশগুণ পানি বেশী খরচ করিতেছি । আপনারা যদি জানিতে পারিতেন যে, মহান আল্লাহর এই অমূল্য নেয়ামত পানিকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কতোটা হিসাব করিয়া খরচ করিতেন, তবে আপনাদের হৃদয় কাঁপিয়া উঠিত এবং চক্ষু হইতে অঝোরে অশ্রু প্রবাহিত হইত । 
মূল -  মাওলানা  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

No comments:

Post a Comment