Tuesday, September 1, 2015

খুব শীঘ্রই হজ্জ বন্ধ হইয়া যাইবে



খুব  শীঘ্রই  হজ্জ  বন্ধ  হইয়া  যাইবে
প্রশ্ন ঃ-  হাদীসে  বলা  হইয়াছে  কেয়ামতের  পূর্বে  হজ্জ  বন্ধ  হইয়া  যাইবে ।  আপনি  কি  বিষয়টি  একটু  ব্যাখ্যা  করিয়া  বলিবেন ?
উত্তর ঃ-  আপনি  কি  আমাকে  এক  ঘণ্টা  সময়  দিতে  পারিবেন ?  ইয়াজুজ  এবং  মাজুজ  ইংরেজিতে  যাদেরকে  বলা  হয়  গগ  এবং  ম্যাগগ ।  এদের  সম্পর্কে  মুসলিম  শরীফের  একটি  হাদীসে  বর্ণনা  করা  হয়েছে,  যা  কিনা  হাদীসে  কুদসী ।  যাহার  অর্থ  হইল  হাদীসের  ভাষ্যটি  স্বয়ং  আল্লাহ  তায়ালার ।  আল্লাহ  ইয়াজুজ-মাজুজ  সম্পর্কে  বলেন,  আমি  এমন  কিছু  বান্দাকে  সৃষ্টিকে  করিয়াছি,  তাহারা  এমন  শক্তিশালী  যে  আমি  ছাড়া  অন্য  কেউ  তাহাদেরকে  কেহ  ধ্বংস  করিতে  পারিবে  না ।  এই  অদ্ভূত  রকমের  আক্ষরিক  অর্থে   অপরাজেয়  মহাশক্তিশালী  প্রাণীরা  কিন্তু  অন্য  কোন  বিচিত্র  জীব  নয়,  বরং  তাহারা  মানুষ ।  রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  বলিয়াছেন,  তাহারা  মানবজাতির  অন্তর্ভূক্ত ,  আদমের  সন্তান ।  কিন্তু  পবিত্র  কোরআন  বলিতেছে  যে,  তাহারা  তাহাদের  শক্তিকে  ব্যবহার  করিবে  জুলুম  অত্যাচারের  কাজে ।  যেখানে  জুলকারনাইন  তাঁহার  শক্তিকে  ব্যবহার  করিতেন  জালেম  অত্যাচারীদের  শায়েস্তা  করার  কাজে ।  ইয়াজুজ-মাজুজ  ফাসাদ  সৃষ্টি  করে ।  ফাসাদ  অর্থ  হইল  দূষিত  করা,  বিকৃত  করা  এবং  ধ্বংস  করা ।  পবিত্র  কোরআন  আমাদেরকে  বলে  বিভিন্ন  ধরনের  ফাসাদের  কথা ।  উদাহরণস্বরূপ  আমরা  বলিতে  পারি  কৃষিকাজের  কথা,  খাবার-দাবার ।  জেনেটিক্যালি  মোডিফাইড  ফুড  আমাদেরকে  পুষ্টি  দিতে  পারে  কিন্তু  তাহা  কখনও  ঔষধ  হিসাবে  ব্যবহৃত  হইতে  পারে  না ।  কারণ  খাদ্যের  ভেতরে  আল্লাহ  যেই  জেনেটিক  কম্পোজিশান  দিয়াছেন  তাহাকে  পরিবর্তন  করিয়া  দেওয়া  হইয়াছে ।  কাজেই  আমাদের  ইমিউন  সিষ্টেম (রোগ  প্রতিরোধ  ব্যবস্থা)  কোথায়  পাইবে  তাহার  খাদ্য-পুষ্টি ।  সুতরাং  আমাদের  ইমিউন  সিষ্টেমের  খাদ্য-পুষ্টির  জন্য  আমাদেরকে  ফার্মেসীতে  দৌড়াতে  হইবে  যেখানে  আল্লাহ  সেগুলো  খাবারের  ভিতরেই  দিয়া  রাখিয়াছিলেন ।  খাবারের  উপর  এই  অবৈধ  হস্তক্ষেপের  ফলে  সেগুলো  এখন  আর  ঔষধ  হিসাবে  ব্যবহার  করা  সম্ভব  হইবে  না ।  ইহাই  একটি  ফাসাদ ।  কাজেই  আমরা  যখন  সুপারমার্কেট  ফুড  খাই,  আমি  গ্রামের  খাবারের  কথা  বলছি  না,  তাহার  ফলস্রুতিতে  আমাদের  ইমিউন  সিষ্টেম  দিন  দিনই  দুর্বল  হইয়া  পড়িতেছে ।  সুতরাং  ডাক্তাররা  আমাদেরকে  যে-সব  এন্টিবায়োটিক  দিতেছে,  সেগুলির  শক্তি  ক্রমেই  বৃদ্ধি  করিতে  হইতেছে ।  কম  পাওয়ারের  এন্টিবায়োটিকে  এখন  আর  রোগ  নিরাময়  হইতেছে  না ।  কাজেই  খাদ্যের  এই  বিকৃতি  এবং  ধ্বংস  সাধন  ইয়াজুজ-মাজুজের  অপকর্ম ।  যে-সব  লোকের  সাথে  জুলকারনাইনের  সাক্ষাত  হইয়াছিল,  তাহারা  জুলকারনাইনের  নিকট  ইয়াজুজ-মাজুজের  জুলুম-অত্যাচারের  ব্যাপারে  অভিযোগ  করিয়াছিল  এবং  তাহাদেরকে  রক্ষার  জন্য  একটি  দেয়াল  নির্মাণের  আবেদন  করিয়াছিল ।  জুলকারনাইন  লোহার  ইট  দিয়ে  একটি  উচুঁ  দেওয়াল  তৈরী  করিয়াছিলেন  এবং  তাহার  উপর  গলিত  তামা  ঢালিয়া  দিয়াছিলেন ।  আমরা  সঠিকভাবে  জানি  ইয়াজুজ-মাজুজের  দেওয়াল  কখন  এবং  কোথায়  নির্মাণ  করা  হইয়াছিল,  সঠিক  ভৌগোলিক  অবস্থান ।  ইয়াজুজ-মাজুজের  ওপর  লিখিত  আমার  বইয়ে  এই  ব্যাপারে  বিস্তারিত  বিশ্লেষণ  দেওয়া  আছে ।  সুতরাং  ইয়াজুজ-মাজুজ  বসবাস  করিত  সেই  দেয়ালের  পেছনে ।  আমরা  ইহাও  জানি  দেয়ালটি  কখন  ভাঙ্গিয়া  ফেলা  হইয়াছিল,  আমি  হাদীসের  উদ্ধৃতি  দিয়াছি,  “আজকে  ইয়াজুজ-মাজুজের  দেওয়ালে  একটি  ছিদ্র  হইয়াছে”।  সুতরাং  যখন  ইয়াজুজ-মাজুজকে  মুক্তি  দেওয়া  হইবে,  মানবজাতি  দেখিতে  পাইবে  একটি  অপরাজেয়  শক্তি  পৃথিবীকে  নিয়ন্ত্রণ  করিতেছে,  সেই  শক্তি  হইবে  একটি  অপশক্তি,  শয়তানী  শক্তি ।  আপনি  যখন  সুরা  আম্বিয়া  পাঠ  করিবেন,  তাহাতে  আমরা  দ্বিতীয়বার  ইয়াজুজ-মাজুজের  বর্ণনা  পাই ।  এই  ছুরাতে  আল্লাহ  তায়ালা  একটি  শহরের  কথা  বলিয়াছেন  যাহাকে  তিনি  ধ্বংস  করিয়াছেন  এবং  শহরের  অধিবাসীদেরকে  তিনি  বহিষ্কার  করিয়াছেন  এবং  সেখানে  তাহাদের  পুণরায়  ফিরিয়া  আসিবার  ক্ষেত্রে  নিষেধাজ্ঞা  জারি  করিয়াছেন ।  এই  শহরে  তাহারা  পর্যটক  হিসাবে  আসিতে  পারিবে  কিন্তু  কখনও  নিজেদের  আবাসভূমির  দাবী  নিয়া  আসিতে  পারিবে  না ঃ-  যতক্ষণ  না  দুইটি  ঘটনা  ঘটে  (১)  ইয়াজুজ-মাজুজকে  ছাড়িয়া  দেওয়া  হয়  এবং  (২)  ইয়াজুজ-মাজুজ  পৃথিবীর  চারদিকে  ছড়াইয়া  পড়ে,  তারপর  তাহারা  পৃথিবীর  নিয়ন্ত্রণ  নিয়া  নেয়,  ইয়াজুজ-মাজুজের  বিশ্ব  ব্যবস্থা  চালু  হয় ।  সেই  সময়ে  সেই  শহরের  অধিবাসীরা  পুণরায়  ফিরিয়া  আসিবে,  সেই  শহরের  প্রতি  তাহাদের  পূর্বপুরুষের  আবাসভূমির  দাবী  নিয়া ।  সেটি  কোন  শহর ?  আমার  উত্তর  হইল  জেরুজালেম ।  আমার  উত্তরের  পক্ষে  আমি  যে-সব  যুক্তি  দেখিয়েছি  সেগুলো  দেখতে  পাবেন  পবিত্র  কোরআনে  জেরুজালেম  নামক  আমার  বইটিতে ।  কাজেই  যখন  দেখিবেন  যে,  ইহুদীরা  পবিত্রভূমি  জেরুজালেমে  ফিরিয়া  আসিয়াছে  তাহাদের  আবাসভূমির  দাবী  নিয়া,  মনে  করিবেন  ইয়াজুজ-মাজুজই  তাহাদেরকে  এখানে  ফিরাইয়া  নিয়া  আসিয়াছে ।  সবশেষে  আমি  আরেকটি  হাদীসের  উল্লেখ  করতে  চাই ।  হাদীসটি  বোখারী  শরীফে  আছে ।  “ইয়াজুজ-মাজুজের  মুক্তির  পরেও  মানুষ  আল্লাহর  ঘরে  (অর্থাৎ  কাবা  শরীফে)  হজ্জ  এবং  ওমরাহ  পালন  করিতে  থাকিবে”।  তারপর  হাদীসে  আরও  বলা  হইয়াছে,  “কেয়ামত  অনুষ্টিত  হইবে  না  যে  পর্যন্ত  না  হজ্জ  বন্ধ  হইয়া  যাইবে  অর্থাৎ  পরিত্যক্ত  হইবে” । ইসরাঈল  যদি  ইরানে  হামলা  করে  তবে  হজ্জের  বিদায়  ঘন্টা  বাজিয়া  যাইবে ।  ইজরাইল  যখন  ইরানে  আক্রমণ  করিবে  তখন  হজ্জ  বন্ধ  হইয়া  যাইবে ।  হজ্জ  বন্ধ  হইয়া  যাওয়ার  পরেও  আপনি  কিভাবে  দাবী  করিবেন  যে  ইয়াজুজ-মাজুজ  মুক্তি  পায়  নাই ?  লম্বা  উত্তরের  জন্য  দুঃখিত ।  আর  কাহারো  কোন  প্রশ্ন  আছে ?

মূল -  মাওলানা  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস
Piligramage will stop  লেকচারের  অনুবাদ
এক  বছরের  মধ্যে  ৩য়  বিশ্বযুদ্ধ / মালহামা/ আরমাগেডন
ইতিপূর্বে  আমি  মনে  করিতাম  মহানবী (সাঃ)-এর  ঘোষিত  মালহামা (মহাযুদ্ধ / আরমাগেডন / তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধ)  সংঘঠিত  হইতে  এখনও  পাঁচ / দশ  বছর  বাকী  আছে ।  কিন্তু  সম্প্রতি  ইরান  সফরের  সময়  আমি  দুইটি  স্বপ্ন  দেখিয়াছি (সেপ্টেম্বর / ২০১৪),  একটার  পর  আরেকটা,  যাহাতে  আমি  দেখিয়াছি  পারমাণবিক  যুদ্ধ  শুরু  হইয়া  গিয়াছে  এবং  আকাশের  দিকে  পারমানবিক  ক্ষেপনাস্ত্র  নিক্ষেপ  করা  হইয়াছে ।  একই  ঘটনা  ঘটিয়াছিল  নাইন  ইলাভেনের  পূর্বে  যখন  আমি  নিউ  ইয়র্কের  লঙ  আইল্যান্ডে  বসবাস  করিতাম ।  আমি  স্বপ্নে  দেখিয়াছিলাম  নাইন  ইলেভেন  সংঘঠিত  হইয়াছে,  ম্যানহাটনের  উচুঁ  বিল্ডিংয়ে  আগুন  দেওয়া  হইয়াছে  এবং  সেখান  থেকে একটার  পর  একটা  বিল্ডিংয়ে  আগুন  ছড়াইতে  ছড়াইতে  সারা  পৃথিবীতে  আগুনের  শিখা  ছড়াইয়া  পড়িয়াছে ।  লং  আইল্যান্ডের  দার  আল  কোরআন  মসজিদের  জু’মুআর  খোতবায়  আমি  আমার  স্বপ্নের  বিষয়টি  উল্লেখ  করিয়াছিলাম ।  আমার  এই  স্বপ্ন  দেখিবার  দুই  বছর  পরে  নাইন  ইলাভেন  সংঘঠিত  হয় ।  এই  স্বপ্নটি  দেখিবার  সাথে  সাথেই  আমার  সেই  নাইন  ইলাভেনের  স্বপ্নের  কথা  মনে  পড়িল ।  মহানবী (সাঃ)  বলিয়াছেন  যে,  আখেরী  জমানায়  ঈমানদারদের  স্বপ্ন  কদাচিৎ  মিথ্যা  প্রমাণিত  হইবে ।  কাজেই  নাইন  এলেভেনের  স্বপ্নের  ইশারা  অনুযায়ী  বলা  যায়  যে,  আমাদের  হাতে  মাত্র  অল্প  সময়  বাকী  আছে,  গত  সেপ্টেম্বর  হইতে  হিসাব  করিয়া  দুই  বছর,  যখন  মহাযুদ্ধ  শুরু  হইবে,  যাহাতে  বড়  বড়  শহরগুলির  অধিকাংশ  মানুষ  নিহত  হইবে (বিশেষত  উত্তর  আমেরিকা  এবং  ইউরোপ  মহাদেশের) ।  পক্ষান্তরে  যেসব  শহরের  মানুষ  এটম  বোমার  আঘাত  হইতে  বাঁচিয়া  যাইবে,  তাহারাও  অরাজকতা,  গৃহযুদ্ধ,  মহামারী  এবং  অনাহারে  কুকুর-বিড়ালের  মতো  ঝাঁকে  ঝাঁকে  মৃত্যুবরণ  করিবে ।  মালহামার  পরে  বড় বড়  শহরগুলিতে  জাহান্নামের  সকল  দরজা  খুলিয়া  দেওয়া  হইবে ।  কেননা  এসব  মেগাসিটিতে  কোটি  কোটি  মানুষ  বসবাস  করে  অথচ  এদের  খাবার-পানি  আসে  গ্রাম  থেকে ।  যুদ্ধের  পরে  যেহেতু  খাবার-পানি  সরবরাহ  ব্যবস্থা  অচল  হইয়া  পড়িবে,  তখন  শহরবাসীগণ  জীবন  বাঁচাতে  ছিনতাই-ডাকাতি-লুটতরাজ  শুরু  করিবে ।  তাহারা  সভ্যতা-ভদ্রতা  কিংবা  জাহান্নামের  শাস্তির  কথা  বেমালুম  ভুলিয়া  যাইবে ।  কুকুর  কুকুরকে  খায়  বলিয়া  একটি  কথা  প্রচলিত  আছে,  তখনকার  মেগাসিটিতে  বসবাসকারীদের  অবস্থা  হইবে  অনেকটা  এই  রকম ।  শহরবাসীদের  কেউ  যদি  জানিতে  পারে  যে,  আপনার  গৃহে  একটু  খাবার  বা  পানি  আছে,  তবে  হাজার  হাজার  লোক  ঝাপাইয়া  পড়িবে  এবং  দরজা  ভাঙিয়া  তাহা  ছিনাইয়া  নিবে ।  এই  ব্যাপারে  আপনারা  পবিত্র  কোরআনের  সুরা  ইসরার  এই  আয়াতটি  পাঠ  করিয়া  দেখিতে  পারেন,  এমন  কোন  শহর  নগর  নাই,  যাহাকে  আমরা  (অবাধ্যতার  কারণে)  কেয়ামত  দিবসের  পূর্বে  ধ্বংস  করিব  না  অথবা  যাহাকে  কঠোর  শাস্তি  দিব  না ইহা  তো  কিতাবে  লিপিবদ্ধ  হইয়া  গিয়াছে (১৭:৫৮)” ।  খ্রীষ্টান  ধর্মজাযকগণ  বলেন  (আকাশে  ছড়ানো  ব্যাঙের  ছাতার  মতো  এটম  বোমার  ধোয়ার  কারণে  পৃথিবীতে  সূর্যের  আলো  আসিতে  না  পারিবার  কারণে)  পৃথিবী  অন্ধকারাচ্ছন্ন  থাকিবে  তিন  দিন ।  পক্ষান্তরে  মহানবী (সাঃ)  বলিয়াছেন,  চল্লিশ  দিন  (মানে  অনেক  দিন)  পৃথিবী  অন্ধকারাচ্ছন্ন  থাকিবে ।  এই  সময়  পৃথিবীর  তাপমাত্রা  নামিয়া  যাইবে  হিমাঙ্কের  নীচে  এবং  শীতে  মারা  যাইবে  কোটি  কোটি  মানুষ  বিশ্বনবী (সাঃ) বলিয়াছেন, “এক বছর বৃষ্টিপাত এক-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য এক-তৃতীয়াংশ কম উৎপাদিত হইবে । দ্বিতীয় বছর বৃষ্টিপাত দুই-তৃতীয়াংশ কম হইবে, ফলে খাদ্য-শস্য দুই-তৃতীয়াংশ কম উৎপন্ন হইবে । তৃতীয় বৎসর কোন বৃষ্টিপাত হইবে না, ফলে সেই বছর কোন ফসল উৎপাদিত হইবে না ।” আমি মনে করি, এই ঘটনা ঘটিবে মালহামার (মহাযুদ্ধ, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ) পরে ।  পারমানবিক  রেডিয়েশান  থেকে  পৃথিবীর  জলবায়ুর  মারাত্মক  সর্বনাশ  হওয়ার  কারণে  এই  অবস্থা  হইবে ।  আমি  আমার  স্বপ্নের  কথা  সাধারণত  প্রকাশ  করি  না  কিন্তু  এই  স্বপ্নটি  আপনাদের  কল্যাণে  আসিবে  ধারনা  করিয়া  প্রকাশ  করিলাম ।  ইহার  ফলে  আমি  যেমন  তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধের  মহাদুর্যোগ  মোকাবেলার  ব্যাপারে  নিজেকে  প্রস্তুত  করিতে  যথেষ্ট  সময়  পাইতেছি,  আপনারাও  তাহা  করিবার  সুযোগ  পাবেন ।  নবী  করীম (সাঃ)-এর  ভবিষ্যৎবাণীকৃত  মালহামা (মহাযুদ্ধ)  এমন  ভয়ঙ্কর  যুদ্ধ  হইবে  যে,  তাহার  তুলনায়  প্রথম  বিশ্বযুদ্ধ  এবং  দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধকে  মনে  হবে  চীনাবাদামের  মতো ।  শেষ  নবীর (সাঃ)  আরেকটি  ভবিষ্যতবাণী  হইল,  মালহামার  পরে  একটি  পাখিও  যদি  আকাশে  উড়ে  তাহা  ভূপাতিত  হইবে ।  ইহাতে  আমরা  ধরিয়া  নিতে  পারি  যে,  মালহামার (তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধের)  পরে  পৃথিবীতে  মিসাইল,  জঙ্গী  বিমান,  সেটেলাইট  ইত্যাদি  উড়ন্ত  কিছুর  অস্তিত্ব  থাকিবে  না ।  তারপর  থেকে  যুদ্ধ  হইবে  স্থলপথে  এবং  জলপথে  ঘোড়া  এবং  নৌকা  দিয়ে ।  আজ  থেকে  দশ  বিশ  বছর  পরে  যখন  মালহামা (মহাযুদ্ধ)  শেষ  হইবে,  পৃথিবীর  এখনকার  মানুষদের  মাত্র  ক্ষুদ্র  একটি  ভগ্নাংশ  তখন  বাঁচিয়া  থাকিবে ।  আমার  মনে  হয়  এখন  পৃথিবীর  জনসংখ্যা  যদি  আটশ  কোটি  হয়,  মালহামার  পরে  পৃথিবীর  জনসংখ্যা  হইবে  পঞ্চাশ  কোটি ।  আপনি  যদি  মুসলিম  হন  অথবা  মুসলমানদের  বন্ধু  হন  (যেমন  খ্রীষ্টানরা),  তবে  যত  দ্রুত  সম্ভব  শহর  থেকে  দূরবর্তী  কোন  প্রত্যন্ত  গ্রামাঞ্চলে  চলিয়া  যান,  যেখানে  আপনার  স্ত্রী  এবং  সন্তানদের  জন্য  খাবার-পানির  ব্যবস্থা  আছে ।
মূল -  শায়খ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস
বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের  মুসলমানদের  জন্য  সতর্কবাণী
দাজ্জালের  হাত  থেকে  জীবন  বাঁচাতে  বাংলাদেশ  এবং  পাকিস্তানের  মুসলমানদের  উচিত  দ্রুত  শহরগুলি  ত্যাগ  করিয়া  দূরবর্তী  গ্রামগুলিতে  গিয়ে  বসবাস  করা ।  দাজ্জাল  খুব  শীঘ্রই  শহরগুলিতে  আক্রমণ  করিয়া  মুসলমানদেরকে  হত্যা  করিতে  থাকিবে ।  যুদ্ধ,  গেরিলা  যুদ্ধ  চাপাইয়া  দিবে ।  খাদ্য  সরবরাহ  বন্ধ  করিয়া  দিবে ।  পানি  সরবরাহ  বন্ধ  করিয়া  দিয়া  মুসলমানদের  নির্মূল  করিবে ।  এইগুলি  হইল  দাজ্জালের  মুসলিম  নিধনের  প্রধান  হাতিয়ার  যাহা  সাধারণত  গ্রাম  অঞ্চলে  তেমন  একটা  কার্যকর  হয়  না ।  দাজ্জালের  আরেকটি  হাতিয়ার  হইবে  প্লেগ ।  প্লেগ  মানে  প্লেগ  নয়,  ইপিডেমিকস,  মহামারী ।  বার্ড  ফ্লু,  সোয়াইন  ফ্লু  ইত্যাদি ।  মহামারী  দিয়াও  শহরবাসীদের  সহজে  নির্মূল  করা  যায়  কিন্তু  গ্রামে  তেমন  একটা  সফল  হওয়া  যায়  না ।  তবে  ভারতের  মুসলমানদেরকে  দাজ্জালের  হাত  থেকে  জীবন  বাঁচানোর  জন্য  আরো  বেশী  কিছু  করিতে  হইবে ।  আর  তাহা  হইল  তাহাদেরকে  বিপুল  সংখ্যায়  একত্রে  বসবাস  করিতে  হইবে ।  যাহাতে  ২০  জন  বা  ২০০  লোক  তাহাদেরকে  আক্রমণ  করিয়া  হ্ত্যা  করিতে  না  পারে ।  বরং  তাহাদেরকে  আক্রমণ  করিয়া  হত্যা  করিতে  ২০  হাজার  লোকের  বিরাট  সৈন্যবাহিনীর  প্রয়োজন  হয়  এবং  বিরাট  যুদ্ধের  মোকাবিলা  করিতে  হয় ।  ভারতীয়  মুসলমানদেরকে  ব্যক্তিগতভাবে  জীবন  রক্ষার  চেষ্টা  না  করিয়া  সম্মীলিতভাবে  আত্মরক্ষার  চেষ্টা  করিতে  হইবে ।  হযরত  তামীম  আদ  দারী  (রাঃ)-কে  দাজ্জাল  বলিয়াছে  যে,  সে  প্রতিটি  শহরে  অভিযান  পরিচালনা  করিবে ।  এই  কারণে  মুসলমানদেরকে  অতি  সহজে  ধ্বংস  করিবার  সুবিধার্থে  বিভিন্নভাবে  আকৃষ্ট  করিয়া  শহরগুলিতে  আনিয়া  একত্রিত  করিতে  সক্ষম  হইয়াছে ।  ফলে  অবস্থা  এমন  হইয়াছে  যে,  চারদিকে  অগণিত  মেগাসিটি  তৈরী  হইয়াছে ।  গ্রামগুলি  ধীরে  ধীরে  জনশূন্য  হইয়া  পড়িতেছে ।  ফলে  দাজ্জাল  নিশ্চয়ই  এখন  খুশীতে  হাত  কচলাইতেছে ।  তার  স্বপ্ন  এখন  সে  খুব  সহজেই  পূরণ  করিতে  পারিবে ।  কেননা  শহরে  বসবাস  করিলে  দাজ্জাল  খুব  সহজে  মুসলমানদেরকে  নিয়ন্ত্রণ  করিতে  সক্ষম  হয় ।  সুদের  চক্করে  ফেরিয়া  তাদের  ঈমান  নষ্ট  করা  যায় ।  টেলিভিশনের  মাধ্যমে  তাদের  মগজ  ধোলাই  করিতে  পারে ।  এমনকি  তাহাদেরকে  ধ্বংসও  করা  যায়  খুব  সহজে ।  কাজেই  আমাদেরকে  চেষ্টা  করিতে  হইবে  যাহাতে  দাজ্জাল  খুব  সহজে  আমাদেরকে  হত্যা  করিতে  না  পারে,  বরং  আমাদেরকে  ধ্বংস  করিবার  সময়  সে  নিজেও  যাহাতে  বিপুল  ক্ষতির  সম্মুখীন  হয় ।
মূল -  মাওলানা  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ ডাঃ  বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস
আমেরিকা,  কানাডা,  অস্ট্রেলিয়া,  ব্রিটেন,  ফ্রান্স,  জার্মানী  ইত্যাদি  যে-সব  দেশ  সমকামিতাকে (একই  লিঙে  বিবাহ)  রাষ্ট্রীয়ভাবে  স্বীকৃতি  দিয়াছে,  এই  দেশগুলিকে  আল্লাহ  খুব  শীঘ্রই  ধ্বংস  করিয়া  দিবেন ।  অতীতেও  যে-সব  জাতির  মধ্যে  সমকামিতার  প্রচলন  হইয়াছিল,  আল্লাহ  তাহাদেরকে  ভয়াবহ  শাস্তি  দিয়া  ধ্বংস  করিয়াছেন ।  আমাদেরকে  মনে  রাখিতে  হইবে  যে,  আল্লাহর  আইনে  কোন  পরিবর্তন  হয়  না ।  কাজেই  মুসলমানদের  উচিত  যত  দ্রুত  সম্ভব  এই  দেশগুলো  ত্যাগ  করিয়া  অন্যত্র  চলিয়া  যাওয়া । 
মূল -  আল্লামা  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ ডাঃ  বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

আরব  মুসলমানদের  ধ্বংস  অতি  নিকটবর্তী 
যায়োনিষ্টরা (অর্থাৎ  ইসরাঈলের  সমর্থকরা)  প্রথমে  ইরাক-সিরিয়া  এবং  লিবিয়াকে  ধ্বংস  করিয়াছে ।  তারপরে  তাহারা  ধ্বংস  করিবে  ইরান  এবং  মিশরকে ।  আর  সর্বশেষে  তাহারা  ধ্বংস  করিবে  সৌদি  আরবকে ।  এই  ক্ষেত্রে  যায়োনিষ্টদের  প্রধান  অস্ত্র  হইবে  আরবদেরকে  শিয়া-সুন্নী  দুই দলে  বিভক্ত  করিয়া  নিজেদের  মধ্যে  গৃহযুদ্ধ  বাধিয়ে  দেওয়া ।  এই  কাজে  তাহারা  ইতিমধ্যেই  বেশ  সাফল্য  লাভ  করিয়াছে ।  ইরাক,  সিরিয়া  এবং  ইয়েমেনে  শিয়া-সুন্নী  গৃহযুদ্ধ  শুরু  হইয়া  গিয়াছে ।
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

No comments:

Post a Comment