Tuesday, September 1, 2015

আখেরী জামানার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল – সিরিয়া ইয়েমেন সৌদি আরব



আখেরী জামানার  তিনটি  গুরুত্বপূর্ণ  অঞ্চল সিরিয়া  ইয়েমেন  সৌদি  আরব

প্রায়  তিন  সপ্তাহ  হয়ে  গেল  সৌদী  আরব  ইয়েমেনে  আক্রমণ  অর্থাৎ  বোমা  হামলা  শুরু  করেছে ।  এজন্য  তারা  একই  মানসিকতার  আরো  কিছু  দেশকে  সাথে  নিয়ে  একটি  জোট  তৈরী  করেছে,  যেমন  জেনারেল  সিসি’র  মিশর ।  সৌদী  অনুরোধ  সত্ত্বেও  পাকিস্তান  সরকার  এই  জোটে  যোগ  দেওয়ার  সাহস  পায়  না্ই ।  পাকিস্তানের  পার্লামেন্ট  নিরষ্কুশ  সংখ্যাগরিষ্ট  ভোটে  ইয়েমেন  আক্রমণে  যোগ  দেওয়ার  সৌদী  অনুরোধ  প্রত্যাখ্যান  করেছে ।  জাতিসংঘের  নিরাপত্তা  পরিষদ  ইয়েমেনের  জনগণের  উপর  অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা  আরোপ  করতে  যাইতেছে ।  জাতিসংঘের  জন্য  যায়োনিষ্ট  জাতিসংঘের  পক্ষে  ইহা  একটি  লজ্জাজনক  পদক্ষেপ  হইবে ।  রাশিয়া  যদি  জাতিসংঘের  অস্ত্র  নিষেধাজ্ঞায়  ভেটো  না  দেয়,  তবে  সেও  ইয়েমেন  বিরোধীদের  সাথেই  গণ্য  হইল ।  তবে  এই  ব্যাপারে  আমার  বিশ্লেষণ  হইল  ইসলামের  আখেরী  জামানা  বিদ্যার  আলোকে ।  যারা  রাষ্ট্রবিজ্ঞানী  আছেন,  তারা  বিষয়টির  রাজনৈতিক  বিশ্লেষণ  আমার  চাইতেও  ভালোভাবে  করতে  পারবেন ।  আমি  মনোযোগ  দিতেছি  নবী  করীম (সাঃ)-এর  একটি  হাদীসের  উপর  যাতে  তিনি  আখেরী  জামানার  তিনটি  অঞ্চলের (ত্রিভূজ) উপর  মতামত  দিয়েছেন । আমার  আজকের  সংক্ষিপ্ত  আলোচনা  এই  ত্রিভূজের  উপর । তিন  কোণ  বিশিষ্ট  এই  এলাকাগুলির  মধ্যে  আছে  ইয়েমেন,  শাম (সিরিয়া-ফিলিস্তীন)  এবং  নজদ (রিয়াদ) ।  ত্রিভূজের  এক  কোণায়  আছে  সিরিয়া  যার  সম্পর্কে  মহানবী (সাঃ)  আল্লাহর  নিকট  প্রার্থনা  করেন,  “হে  আল্লাহ !  আমাদের  শামের (সিরিয়ার)  উপর  কল্যাণ  দান  করুন” ।  ত্রিভূজের  অন্য  কোণা  হইল  ইয়েমেন  যার  সম্পর্কে  নবী  করীম (সাঃ)  দোয়া  করেন,  “হে  আল্লাহ !  আমাদের  ইয়েমেনের  উপর  কল্যাণ  নাজিল  করুন” । আখেরী  জামানায়  এই  শাম  এবং  ইয়েমেন  উভয়ের  খুবই  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা  রহিয়াছে ।  ‍উদাহরণস্বরূপ  বলা  যায়,  দামেষ্কের  কথা ।  ইহা  হইল  সেই  দামেষ্ক  যাহাতে  ইমাম  মাহদী (আঃ)  ‍উপস্থিত  থাকিবেন ।  ইমাম  মাহদী (আঃ)  হইলেন  আখেরী  জামানার  খুবই  গুরুত্বপূর্ণ  ব্যক্তিত্ব ।  তিনি  মসজিদে  ইমামতী  করিতে  দাঁড়াবেন ।  মসজিদের  বাহিরে  থাকিবে  দাজ্জাল  সাথে  পারসী  চাদর  পরিহিত  সত্তর  হাজার  ইস্ফাহানী  ইহুদী ।  দাজ্জাল  হইল  আখেরী  জামানার  আরেক  গুরুত্বপূর্ণ  ব্যক্তি ।  শুধু  তাই  নয়,  ইহা  সেই  দামেষ্ক  যেখানে  আকাশ  হইতে  হযরত  ঈশা (আঃ)  নামিয়া  আসিবেন ।  আখেরী  জামানার  এই  তিন  গুরুত্বপূর্ণ  ব্যক্তি  একই  সাথে  এই  শামে ।  বিশ্বনবী (সাঃ)  বলিয়াছেন,  দাজ্জালের  ফিতনাহ (সন্ত্রাস)  হইবে  পৃথিবীর  ইতিহাসে  সবচাইতে  জঘন্য  ফিতনা  যাহা  হযরত  আদম (আঃ)  হইতে  কেয়ামত  পর্যন্ত  মানবজাতি  প্রত্যক্ষ  করিয়াছে ।  কাজেই  আলেমদের  দায়িত্ব  হইল  দাজ্জালের  ফিতনাহ  বিপর্যয়  সম্পর্কে  মুসলমানদের  সতর্ক  করা,  শিক্ষা  দেওয়া,  ব্যাখ্যা  বিশ্লেষণ  করা ।  মসজিদের  মিম্বারে  বসে  দিনের  পর  দিন  এই  কাজ  করিতে  হইবে ।  কাজেই  ত্রিভূজের  এই  কোণাটি  সবচাইতে  বেশী  গুরুত্বপূর্ণ ।  এই  কোণা 
সম্পর্কে  রাসুলে  পাক (সাঃ) বলিয়াছেন,  “আমাদের  প্রিয়  শাম”।  আরেক  কোণা  ইয়েমেন  সম্পর্কেও  হুজুরে  পাক (সাঃ)  বলিয়াছেন,  “আমাদের  প্রিয়  ইয়েমেন” ।  এই  ইয়েমেনও  একটি  গুরুত্বপূর্ণ  এলাকা ।  আখেরী  জামানায়  সংঘঠিত  ঘটনাবলীতে  ইয়েমেনের  কৌশলগত  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা  রহিয়াছে ।  কেননা  নুরনবী (সাঃ)  বলিয়াছেন,  “ইয়েমেন  হইতে  একটি  আগুন  বাহির  হইবে  যাহা  মানুষদেরকে  বিচারের  জন্য  একত্রিত  করিবে’।  যুক্তরাষ্ট্রের  ষ্টেট  ডিপার্টমেন্ট  ব্যাপারটা  আদৌ  পছন্দ  করিবে  না  কিন্তু  তারপরও  এই  আগুনকে  ঠেকাইতে  পারিবে  না ।  ইয়েমেন  হইতে  একটি  আগুনের  শিখা  বাহির  হইবে ।  ব্রিটেন  এবং  ফ্রান্স  যাহা  ইচ্ছা  করিতে  পারে  কিন্তু  সেই  আগুনকে  বন্ধ  করিতে  পারিবে  না ।  ইয়েমেন  হইতে  একটি  আগুন  আত্মপ্রকাশ  করিবে  যাহা  মানুষকে  বিচারের  স্থানে  সমবেত  করিবে । যাহারা  বিশ্বাসঘাতক,  যাহারা  ইসলামের  সাথে  বিশ্বাসঘাতকতা  করিয়াছে ।  যাহারা  ইহুদী-খ্রীষ্টানদের  জোটে  যোগদান  করেছে ।  যাদের  সম্পর্কে  আল্লাহ  বলিয়াছেন,  “সেই  সকল  ইহুদী  এবং  খ্রীষ্টানদের  সাথে  বন্ধুত্ব  করিও  না  যাহারা  নিজেরা  নিজেদের  বন্ধু।  তোমাদের  মধ্যে  যাহারা  তাহাদের  সাথে  বন্ধুত্ব  করিবে,  তাহারা  তাহাদের  মধ্যে  গণ্য  হইবে “ ।  তাহারা  ইসলাম  থেকে  খারিজ  হইয়া  যাইবে,  এই  উম্মাহ  হইতে  বাহির  হইয়া  যাইবে ।  “ইয়েমেন  হইতে  একটি  আগুন  বাহির  হইবে  যাহা  লোকদেরকে  কেয়ামতের  পূর্বে  বিচারের  জন্য  একত্রিত  করিবে” ।  ওহ !  কি  চমৎকার  ভাষা !  মাশাআল্লাহ !!  কি  চমৎকার  শব্দ !!  আমার  খুবই  পছন্দ  হইয়াছে !!  কাজেই  ইয়েমেন  হইতে  একটি  আগুন  বাহির  হইতেছে  যাহা  বিশ্বাসঘাতকদের  উৎখাত  করিয়া  বিচারের  সম্মুখীন  করিবে । 

সুতরাং  আখেরী  জামানায়  ত্রিভূজের  দুই  কোণা  শাম  এবং  ইয়েমেন  কৌশলগতভাবে  খুবই  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা  পালন  করিবে ।  কিন্তু  ত্রিভূজের  আরেকটি  কোণার  সম্পর্কে  কি  বলা  হইয়াছে ?  সাহাবায়ে  কেরামগণ  আবেদন  করিলেন,  “ইয়া  রাসুলাল্লাহ !  আমাদের  নাজদের (জন্যও  দোয়া  করুন)” ?  এখনকার  মানুষ  আর  নাজদের  সম্পর্কে  কিছু  জিজ্ঞাসা  করে  না ,  তাহারা  ভুলিয়া  গিয়াছে।  শব্দটি  হারাইয়া  গিয়াছে ,  যেভাবে  (কুসন্তুতুনিয়া)  কন্সট্যান্টিপুল  শব্দটি  হারাইয়া  গিয়াছে ।  কেন  নামটি  পরিবর্তন  করা  হইল ?  ইহা  একটি  সুগভীর  চক্রান্ত ।  রাসুলুল্লাহ  (সাঃ)  যেই  নাম  ব্যবহার  করিয়াছেন,  তাহা  উম্মতের  জন্য  সুন্নাহস্বরূপ ।  তরুণ  ধর্মহীন  তুর্কীরা   যখন  কন্সষ্ট্যান্টিপুলের  নাম  পরিবর্তন  করিয়া  ইস্তানবুল  রাখিয়াছিল,  তাহার  উদ্দেশ্য  ছিল  মানুষ  যাহাতে  নবীজির (সাঃ)  দেওয়া  নামটি  ভুলিয়া  যায় ।  কেননা  আখেরী  জামানায়  মুসলমানরা  কন্সষ্ট্যান্টিপুল  বিজয়  করিবে  এবং  কন্সষ্ট্যান্টিপুলের  বিজয়  সংঘঠিত  হইবে  মালহামার (মহাযুদ্ধ / ৩য় বিশ্বযুদ্ধ)  পরে ।  আর  মালহামা  এখনও  সংঘঠিত  হয়  নাই ।  আমরা  এই  হাদীসটি  নিয়ে  খুবই  আনন্দিত ।  এই  হাদীস  থেকে  আমরা  জানিতে  পারি  যে,  কন্সষ্ট্যান্টিপুল  বিজয়ের  পরে  রাশিয়ার  নৌবাহিনী  বসফরাস  প্রণালী  দিয়ে  ভূমধ্যসাগরে  প্রবেশ  করিবে ।  এই  হাদীস  থেকে  আমরা  জানিতে  পারি  যে,  মালহামার /  পারমাণবিক  যুদ্ধে  পরেও  রাশিয়া  টিকিয়া  থাকিবে ।   এজন্য  তাহারা  আইন  পাশ  করিয়া  নিষিদ্ধ  করিয়াছে  যাহাতে  কেউ  কন্সট্যান্টিপুল  নামটি  ব্যবহার  করিতে  না  পারে ।  আপনারা  তুরষ্কের  প্রধানমন্ত্রীকে  বলেন,  তুমি  তোমার  দেশে  নামটি  নিষিদ্ধ  করিতে  পারো  কিন্তু  আমাকে  নামটি  ব্যবহারে  বিরত  রাখিতে  পারিবে  না,  মোহাম্মদ (সাঃ)-এর  উম্মতকেও  কন্সষ্ট্যান্টিপুল  নামটি  উচ্চারণে  বিরত  রাখিতে  পারিবে  না ।  মহানবী (সাঃ)  যেই  নামটি  ব্যবহার  করেছেন ।  আল্লাহর  রাসুল (সাঃ)  বলিয়াছেন,  “নিশ্চয়  তোমরা  কন্সষ্ট্যান্টিপুল  বিজয়  করিবে ।  কি  চমৎকার  হইবে  সেই  সেনাবাহিনী !  কি  চমৎকার  হইবে  তাহার  সেনাপতি !” ।  একই  ভাবে  তাহারা  নজদের  নাম  পরিবর্তন  করিয়া  সৌদী  এরাবিয়া  রাখিয়াছে ।  সৌদী  আরব  এই  ভোগাস  নামটি  নিয়া  ডাস্টবিনে  নিক্ষেপ  করুন   কিংডোম  অব  সৌদী  এরাবিয়া !   নবী  করীম (সাঃ)-এর  ব্যবহৃত  নাম  নাজদ  কে  পৃথিবী  থেকে  মুছিয়া  ফেলিবার  জন্য  তাহারা  এই  ভোগাস  নাম  কিংডোম  অব  সৌদী  এরাবিয়া  নামকরণ  করিয়াছে ।  কেন  ?  যাহাতে  আপনারা  নাজদ  শব্দটি  ভুলিয়া  যান ।  আমি  আল্লাহর  নিকট  দোয়া  করি  যাতে  আমার  কথাগুলি  সৌদি  আরবের  লোকদের  নিকট  পৌঁছে  যায়,  কেননা  তাহাদের  অনেকেই  আছেন  যাদের  হৃদয়  সত্যকে  গ্রহন  করিতে  সক্ষম । যেই  কারণে  নাজদের  নাম  পরিবর্তন  করিয়া  বোগাস  নাম  সৌদী  এরাবিয়া  রাখা  হইয়াছে  যাতে  মানুষ  নাজদকে  একেবারে  ভুলিয়া  যায় ।  নাজদ  কি  ?  এরাবিয়ান  পেনিনসুলা  বা  আরব  উপদ্বীপ  মূলতঃ  দুই  ভাগে  বিভক্ত পূর্বাঞ্চল  এবং  পশ্চিমাঞ্চল ।  পূর্বাঞ্চলকে  বলা  হয়  নাজদ  যাহাতে  আছে  তেলের  খনি,  আছে  দাহরান,  আছে  রিয়াদ ।  আর  পশ্চিমাঞ্চলকে  বলা  হয়  হেজাজ  যাহাতে  আছে  মক্কা  শরীফ,  মদীনা  শরীফ  এবং  জেদ্দা ।  মহানবী (সাঃ)  এর  সময়  হইতে  শতাব্দির  পর  শতাব্দি  যাবত  এই  নামটি  চলিয়া  আসিতেছে  যতক্ষন  না  তাহারা  ইহা  পরিবর্তন  করিয়াছে ।  কেন  তাহারা  নামটি  বদলাইয়া  ফেলিয়াছে ?  কেন  তাহারা  চায়  মানুষ  নাজদ  নামটি  ভুলিয়া  যাক ?  ইহার  কারণ  রাসুলে  করীম (সাঃ)  নাজদের  জন্য  দোয়া  করেন  নাই ।  একদিকের  জন্য  সাইয়্যেদুল  মোরসালীন (সাঃ)  দোয়া  করিলেন,  “আল্লাহুম্মা  বারিক  লানা  ফি  শামিনীনা”  এবং  অন্যদিকের  জন্য  দোয়া  করিলেন,  “আল্লাহুম্মা  বারিক  লানা  ফি  ইয়েমেনীনা” ।  তৃতীয়  দিকের  ব্যাপারে  তিনি  একেবারেই  নিশ্চুপ  রহিলেন ।  লোকেরা  বলিলেন,  “হে  আল্লাহর  নবী !  আমাদের  নাজদের  জন্যও  দোয়া  করুন”।  মদীনা  শরীফের  লোকেরা  যখন  বলেন,  “আমাদের  নাজদ”  তাহার  দ্বারা  তাহারা  কোন  নাজদের  কথা  বুঝাইয়াছেন ?  এখানেই  আমরা  ইসলামের  সৎ  আলেম  এবং  ভ্রান্ত  আলেমদের  পরিচয়  লাভ  করিতে  পারি ।  সৎ  আলেম,  সঠিক  আলেম,  বিশুদ্ধ  আলেম,  কাণ্ডজ্ঞানযুক্ত  আলেম  বলিবেন  যে,  মদীনা  শরীফের  লোকেরা  নাজদ  বলিতে  হেজাজের  নিকটবর্তী  এলাকাকেই  বুঝাইয়াছেন ।  পক্ষান্তরে  ভোগাস  আলেম,  প্রতারক  আলেম,  বিশ্বাসঘাতক  আলেমরা  বলবে  নাজদ  হইল  ইরাকে  বা  ডিজনীল্যাণ্ডে  অবস্থিত ।   

খাতামুন  নাবিয়ীন  (সাঃ)  নাজদ  সম্পর্কে  উত্তর  দিলেন ।  তিনি  নাজদের  দিকে  আঙুল  দিয়ে  ইশারা  করিয়া  বলিলেন,  “নাজদ  হইতে  ফিতনাহ  উৎপত্তি  হইবে (রাজনৈতিক-ধর্মীয়  সন্ত্রাস)  এবং  ভূমিকম্প  সৃষ্টি  হইবে” ।  আর  ভূমিকম্প  সবসময়  কেবল  মাটির  ভূমিকম্প  হয়  না,  রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক  ভূমিকম্পও  হতে  পারে ।  যেমন-  পেট্টোডলার  অর্থব্যবস্থা ।  ত্রিভূজের  আরেক  কোণা  নাজদ  সম্পর্কে  হুজুরে  পাক (সাঃ)  আরো  বলেন,  “কারণুস  শায়তান / সেখানে  শয়তানের  শিং (যুগ)  উদিত  হইবে” ।  কারন্‌  অর্থ  শিং  আবার  কারন্‌  অর্থ  যুগও  বুঝায় ।  এখন  কোন  শব্দের  সঠিক  অর্থ  বুঝিতে  চাহিলে  তাহার  সঠিক  পদ্ধতি  হইল  কোরআনে  অনুসন্ধ্যান  করা ।  আর  কোরআনে  আল্লাহ  কারন্‌  শব্দটিকে  সর্বদা  যুগ / কাল  অর্থে  ব্যবহার  করিয়াছেন,  কখনও  শিং  অর্থে  ব্যবহার  করেন  নাই ।  কাজেই  আমরা  উপসংহার  টানিতে  পারি  যে,  মহানবী (সাঃ)  যখন  নাজদ  সম্পর্কে  কারন্‌  শব্দটি  ব্যবহার  করিয়াছেন  তাহা  যুগ  অর্থেই  ব্যবহার  করিয়াছেন  “শয়তানের  যুগ” ।  দেখা  যায়  এক  কোণা  সম্পর্কে  রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  বলিয়াছেন  “বারাকাহ”  আবার  অন্য  কোণা  সম্পর্কে  তিনি  বলিয়াছেন,  “বারাকাহ” ।  আর  তৃতীয়  কোণাটি  সম্পর্কে  বলিয়াছেন,  “শয়তানী  যুগ”।  কাজেই  তাহারা  কেন  ইহা  গোপন  করিতে  চায় ?  কেন  ভোগাস  স্কলাররা  বলে  নাজদ  হইল  ইরাকে  কিংবা  ডিজনীল্যাণ্ডে,  কেন ? কেন ? কেন ? কেন ?  ইহার  কারণ  হইল  সৌদী  ওহাবী  অশুভ  জোট  যাহারা  আরব  ভূমিকে  হাইজ্যাক  করিয়াছিল  এবং  তারপর  আরব  উপদ্বীপকে  যায়োনিষ্টদের (ইহুদীদের)  হাতে  তুলিয়া  দিয়াছিল ।  এই  ওহাবী  আন্দোলনের  লোকেরা  অশুভ  সৌদী  রাজপরিবার  ছিল  নাজদের  অধিবাসী,  নাজদী ।  ঠিক  একই  সময়ে  ফেরাউনের  লাশ  আবিষ্কৃত  হইয়াছিল  ১৮৯৮  সালে ।  যখন  ফেরাউনের  লাশ  পুণঃআবিষ্কৃত  হইয়াছিল,  তাহার  রহস্য  হইল  ইতিহাস  পূণরাবৃত্তি  হইতে  যাইতেছে ।  আল্লাহ  বলেন,  ফেরাউন  যেভাবে  জীবনযাপন  করিয়াছে  যাহারা  সেভাবে  জীবনযাপন  করিবে,  তবে  ফেরাউন  যেভাবে  মৃত্যুবরণ  করিয়াছে  তাহারাও  সেভাবে  মৃত্যুবরণ  করিবে ।  ফেরাউনের  লাশ  আবিষ্কারের  সাথে  সাথেই  সত্যিকারের  আখেরী  জামানার  দিনক্ষণ  গণনা  শুরু  হইয়া  গিয়াছে ।  নাজদী  সৌউদ  বংশ  ক্ষমতা  দখল  করে  ১৯০২  সালে ।  একই  সময়ে  একই  ঘটনা  ঘটিয়াছে  প্যারিসের  কনফারেন্সে  যখন  তাহারা  তুর্কী  ওসমানী  খেলাফত  ধ্বংস  করিবার  পরিকল্পনা  করিয়াছিল ।  ১৮৮৭  সালে  ইজরাইল  সৃষ্টির  জন্য  সূচনা  হইয়াছিল  যায়োনিষ্ট  আন্দোলনের ।  প্যারিস  কনফারেন্সের  ছয়  বছরের  মাথায়  ওসমানী  খেলাফাহ  বিলুপ্ত  করা  হয়  এবং  নাস্তিক  তুর্কী  যুবকরা  তুরষ্কের  ক্ষমতা  দখল  করিয়া  খলিফাকে  বিতাড়িত  করে ।  তো  এই  ঘটনাগুলি  কোন  দুর্ঘটনাক্রমে  সংঘটিত  হয়  নাই । সৌদীরা  যখন  রিয়াদে  আসিল,  সৌদী  ওহাবী  জোট  হইতে  “শয়তানী  যুগ”  এর  আরম্ভ ।  এই  হইল  আখেরী  জামানার  ত্রিভূজ  এলাকা ।  এখন  তাহারা  বোরখা  খুলিয়া  বাহির  হইয়া  আসিয়াছে  ইয়েমেন  হামলা  করার  জন্য ।  আমরা  বলিতে  পারি  ইহা  হইল  সৌউদ  পরিবারের  পতনের  সূচনা ।  যায়োনিষ্টরা  এখন  চাহিতেছে  সৌদী  রাজবংশের  পতন  ঘটাইয়া  তাহার  চাইতেও  খারাপ  কিছুকে  ক্ষমতায়  বসাইতে  যেমন  আইসিস ।  সৌদী  রাজপরিবার  এখন  আকাশ  হইতে  ইয়েমেনে  বোমা  হামলা  করিতেছে  যাহাতে  আমাদের  অনেক  নিঃস্পাপ  ইয়েমেনী  ভাইয়েরা  মৃত্যুবরণ  করিতেছে  শহীদ  হইতেছে ।  কাপুরুষের  দল  তোমাদের  সাহস  থাকিলে  স্থল  আক্রমণ  কর ।  সৌদী  আরবের  সাধারণ  মুসলমানগণ  কখনও  তাদের  ইয়েমেনী  ভাইদের  উপর  হামলায়  অংশ  নিবে  না ।  যেসব  পাইলট  বিমান  থেকে  বোমা  ফেলিতেছে  তাহারা  জাহান্নামের  আগুনে  জ্বলিবে ।  কাজেই  এই  হামলা  থেকেই  ইয়েমেনে  আগুনের  আত্মপ্রকাশ  ঘটিবে  যেই  সম্পর্কে  আল্লাহর  রাসুল (সাঃ)  ভবিষ্যৎবাণী  করিয়া  গিয়াছেন ।  ইয়েমেন  থেকে  একটি  আগুন  বাহির  হইবে  যাহা  অপরাধীদেরকে  উৎখাত  করিয়া  আরব  ভূমিকে  মুক্ত  করিবে  এবং  পাপাচারীদেরকে  বিচারের  ময়দানে  নিয়া  সমবেত  করিবে ।  পরিশেষে  আসুন  আমরা  আমাদের  ইয়েমেনী  ভাইদের  জন্য  আল্লাহর  নিকট  দোয়া  করি  যাহারা  জুলুম  আগ্রাসনের  বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ  গড়িয়া  তুলিতেছে ।                  
মূল -  আল্লামা  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ ডাঃ  বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

No comments:

Post a Comment