Tuesday, September 1, 2015

কেয়ামতের পূর্বে পশ্চিম দিক হইতে সূর্য উদিত হইবে



টুইন  টাওয়ার  তৈরীর  সময়  মুসলমানদের  টাকার  অভাব  হয়  না ।  কিন্তু  যদি  বলা  হয়  মুসলিম  নারীদের  নামায  পড়ার  জন্য  মসজিদের  ভেতরে  একটি  রুম  করেন,  তখন  তাদের  টাকার  ঘাটতি  দেখা  দেয় ।  রাসুলুল্লাহ  (সাঃ)  কি  মুসলিম  নারীদের  মসজিদের  নামাজ  পড়ার  ব্যবস্থা  করেন  নাই ?  আল্লাহর  রাসুল  (সাঃ)  মহিলাদেরকে  যেই  অধিকার  দিয়েছেন  আপনারা  তাদেরকে  সেই  অধিকার  থেকে  বঞ্চিত  করেছেন । ইহার  জন্য  আপনাদেরকে  অবশ্যই  ভয়ঙ্কর  মাশুল  দিতে  হবে ।  প্রস্তুত  থাকেন !!  একদিন  যখন  দেখিবেন  মুসলিম  নারীরা  তাহাদের  জন্য  আলাদা  মসজিদ  তৈরী  করিয়াছে,  তাহারাই  ইমামতী  করিতেছে  এবং  তাহারাই  খুতবাহ  দিতেছে  আর  তাহাদের  মসজিদে  পুরুষদের  ঢুকিতে  দিতেছে  না,  তখন  আপনারা  কাঁদিতে  কাঁদিতে  আমার  নিকট  আসিবেন  না ।  কেননা  এই  পরিস্থিতির  জন্য  আপনারাই  দায়ী ।  আপনাদেরকে  মনে  রাখিতে  হইবে  যে,  একমাত্র  আল্লাহ  এবং  আল্লাহর  রাসুল (সাঃ)  ছাড়া  ধর্মীয়  বিধি-বিধানে  স্থায়ী  পরিবর্তন  সাধনের  অধিকার  কাহারো  নাই ।  আপনি  বিপদজনক  পরিস্থিতির  কারণে  কিছুদিনের  জন্য  ধর্মীয়  বিধি-বিধানে  পরিবর্তন  আনিতে  পারেন  কিন্তু  স্থায়ীভাবে  তাহা  করিতে  পারেন  না ।  হযরত  ওমর (রাঃ)ও  তাহাই  করিয়াছিলেন ।

মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

পশ্চিম  দিক  হইতে  সূর্য  উদিত  হইবে
আল্লাহর  রাসুল (সাঃ)  কেয়ামতের  প্রধান  প্রধান  যেই  দশটি  আলামতের  কথা  বর্ণনা  করিয়াছেন  তাদের  মধ্যে  একটি  হইল  “সূর্য  পশ্চিম  দিক  হইতে  উদিত  হইবে”।  তবে  আমার  মতে  কেয়ামতের  অন্যান্য  অনেক  আলামতের  ন্যায়  ইহাও  একটি  রূপক  বর্ণনা । কেননা  পবিত্র  কোরআনের  এক  জায়গায়  বলা  হয়েছে  “সূর্য  পূর্ব  দিক  হইতে  উদিত  হয়  ইহাই  আমার  আইন”  এবং  অন্য  জায়গায়  বলা  হয়েছে  “আল্লাহর  আইনে  কোন  পরিবর্তন  নাই” ।   সুতরাং  আমি  মনে  করি  বাস্তবিকভাবে  সূর্য  পশ্চিম  দিক  হইতে  উঠিবে  না  বরং  জ্ঞান-বিজ্ঞান-অর্থনীতি-সামরিক  শক্তি  মোটকথা  সভ্যতার  সূর্য  পশ্চিম  দিক  হইতে  উদিত  হইবে ।  অর্থাৎ  পূর্বে  প্রাচ্য  ছিল  সভ্যতার  সূচিকাগার  তারপর  পাশ্চাত্য  হইবে  সভ্যতার  সূচিকাগার ।  পূর্বে  দামেষ্ক,  বাগদাদ  এবং  কন্সট্যান্টিপল  ছিল  সুপারপাওয়ার,  তারপর  লন্ডন  এবং  ওয়াশিংটন  হয়েছে  সুপারপাওয়ার ।  যারা  মনে  করেন  সূর্য  সত্যিকার  অর্থেই  পশ্চিম  দিক  হইতে  উঠিবে  এবং  তাহার  স্বপক্ষে  পৃথিবীর  ম্যাগনেটিক  ফিল্ডের  পরিবর্তন,  পৃথিবীর  জিওলজিক্যাল  বিভিন্ন  তথ্য-উপাত্য  উপস্থাপন  করেন,  তারা  তা  করতে  পারেন ।  আপনার  বিশ্বাস  বা  নিজস্ব  ধ্যানধারনার  আমি  বিরোধী  নই ।  তবে  আমি  মনে  করি  নবী  করিম  (সাঃ)  বিষয়টি  আক্ষরিক  অর্থে  নয়  বরং  রূপক  অর্থে  বর্ণনা  করিয়াছেন ।  আপনার  যদি  কোন  নির্দিষ্ট  মতবাদ  পোষন  করার  অধিকার  থাকে  তবে  আমারও  সেই  স্বাধীনতা  আছে ।
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস


দাজ্জাল  বর্তমানে  রাজনীতি,  অর্থনীতি  প্রভৃতির  মতো  ধর্মীয়  ক্ষেত্রেও  এতো  বেশী  প্রতারণার  জাল  বিছিয়ে  যে,  আপনার  মনে  হবে  আপনি  জান্নাতের  পথে  জীবন  অতিবাহিত  করেছেন  অথচ  বাস্তবে  আপনার  জীবন  কেটেছে  জাহান্নামের  পথে ।  কাজেই  খুবই  সাবধান ।  কাজেই  দাজ্জালের  ফেতনাহ  থেকে  বাঁচার  জন্য  সর্বদা  একজন  ভালো  আলেমের  পরামর্শ  মতো  চলুন ।  আর  ভালো  আলেম  তাকেই  বলা  যায়,  যিনি  কেবল  এলেমই  অর্জন  করেন  নাই,  সাথে  সাথে  সেই  অনুযায়ী  আমল  করিয়া  উর্ধ্বজগতের  সাথে  নিজের  সম্পর্ক  সৃষ্টি  করেছেন ।  ফলে  তিনি  আল্লাহ  তায়ালার  নিকট  থেকে  (স্বপ্নের / অনুপ্রেরনার  মাধ্যমে)  সর্বদা  পথনির্দেশনা  লাভ  করিয়া  থাকেন ।

মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

দাজ্জাল  গণতন্ত্র  আবিষ্কার  করিয়াছে  রাষ্ট্রীয়  ক্ষমতা  নারীদের  হাতে  তুলিয়া  দেওয়ার  জন্য ।  কেননা  গণতন্ত্রের  নীতি  হইল  এক  মাথা  এক  ভোট ।  আর  সকল  যুগে  সকল  সমাজেই  নারীদের  সংখ্যা  সাধারণত  পুরুষদের  চাইতে  বেশী  থাকে ।  কাজেই  গণতান্ত্রিক  শাসন  ব্যবস্থা  প্রতিষ্টা  করা  গেলে  খুব  সহজেই  রাষ্ট্রীয়  ক্ষমতা  নারীদের  হাতে  তুলিয়া  দেওয়া  যায় । এখন  কথা  হইল  দাজ্জাল  নারীদের  হাতে  রাষ্ট্রীয়  ক্ষমতা  তুলিয়া  দিতে  চায়  কেন ?  ইহার  কারণ  হইল  আবহমান  কাল  ধরিয়া  ধর্ম  এবং  সমাজ  চাহিয়াছে  রাষ্ট্রীয়  ক্ষমতা  থাকিবে  পুরুষদের  হাতে ।  আর  দাজ্জালের  কাজ  হইল  তাহাকে  উল্টাইয়া  দেওয়া ।  দাজ্জাল  প্রমাণ  করিতে  চায়  যে,  আবহমান  কাল  ধরিয়া  ধর্ম  এবং  সমাজ  যাহা  চাহিয়াছে,  তাহা  ভুল ।
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস


ঢাকা  একেবারেই  বসবাসের  অযোগ্য  একটি  শহর ।  কাজেই  যুব  সম্প্রদায়ের  প্রতি  আমার  আহবান,  যত  দ্রুত  সম্ভব  শহর  ত্যাগ  করে  গ্রাম  অঞ্চলে  গিয়ে  আশ্রয়  নাও ।  দাজ্জাল  খুব  শীঘ্রই  উপমহাদেশে  তার  আক্রমণ  শুরু  করিবে ।  আমার  মনে  হয়,  তখন  (খাবার-পানির  অভাবে)  করাচীর  চাইতেও  অনেক  আগে  ঢাকায়  খুনাখুনি  লেগে  যাবে ।   আমার  মতে,  দাজ্জালের  এই  আক্রমণ  হইবে  আফগানিস্তানের  স্টাইলে  প্রায়  বিশ  বছর  ব্যাপী  দীর্ঘ  গেরিলা  যুদ্ধ ।  কাজেই  দাজ্জালের  হাত  থেকে  নিজেদের  জীবন  রক্ষা  এবং  দাজ্জালের  বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ  গড়ে  তোলার  জন্য  গ্রামই  হইল  আদর্শ  স্থান ।

মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

ইউনিভার্সিটিতে  পড়া  হারাম
আধুনিক  শিক্ষা  ব্যবস্থা  এবং  বিশ্ববিদ্যালয়গুলি  দাজ্জালের  তৈরী ।  দাজ্জাল  এগুলি  তৈরী  করেছে  মুসলমানদের  ঈমান  নষ্ট  করার  জন্য ।  কাজেই  মুসলমানদের  জন্য  এসব  ইউনির্ভাসিটিতে  পড়াশোনা  করা  হারাম ।  কিন্তু  ইউনির্ভাসিটিতে  পড়া  মুসলমানদের  জন্য  হালাল  এমন  ফতোয়াও  আপনি  চাইলে  হাজার  হাজার  পাবেন ।  আমরা  হারাম  ফাতওয়া  দিলে  লোকেরা  এসে  বলে,  হে  শায়খ !  এই  মেগাসিটিতে  বসবাস  করার  জন্য  আমার  একটি  ভাল  চাকরি  দরকার ।  আর  বিশ্ববিদ্যালয়ের  ডিগ্রী  ছাড়া  এসব  শহরে  কোন  চাকরি  পাওয়া  যায়  না ।  আপনি  কি  ইহা  বুঝতে  পারছেন  না  শায়খ ?  আপনি  কি  বুঝতে  পারছেন  না,  হ্যাঁ ??  আমরা  ঠিকই  বুঝতে  পারি ।  কিন্তু  তোমার  মাথায়ই  কোন  ঘিলু  নাই ।  তুমি  দুনিয়ার  বিনিময়ে  জান্নাত  বিক্রি  করে  দিতেছ ।  আমি  জানতে  চাই  দাজ্জাল  ইউনির্ভাসিটিগুলি  গ্রামে  প্রতিষ্টা  করল  না  কেন ?  কেন  বিশ্ববিদ্যালয়গুলি  সব  বড়  বড়  শহরগুলিতে  তৈরী  করা  হইল ।  উদ্দেশ্য  একটাই  আর  তা  হলো  জ্ঞান  অর্জনের  বিষয়টিকে  মারাত্মক  ব্যয়বহুল  করে  তোলা ।  অথচ  ইসলাম  তো  জ্ঞানার্জনকে  করেছে  বিনামূল্যে ।  দাজ্জালের  বিশ্ববিদ্যালয়ে  পড়াশোনা  করতে  অনেক  টাকার  প্রয়োজন  হয়  বিধায়  মানুষ  বাধ্য  হয়  সুদে  ঋণ  গ্রহন  করতে ।  দাজ্জাল  এজন্য  সুদের  বিনিময়ে  ব্যাংক  থেকে  শিক্ষাঋণের  ব্যবস্থাও  করে  রেখেছে ।  আর  যখনই  আপনি  সুদের  সাথে  জড়িত  হইলেন,  কোরআনে  আল্লাহ  আপনাকে  আহবান  জানাইতেছে,  আল্লাহ  এবং  আল্লাহর  রাসুলের (রাঃ)  বিরুদ্ধে  যুদ্ধ  করার  জন্য ।  এখন  আপনিই  বলুন,  আল্লাহ  এবং  আল্লাহর  রাসুল (সাঃ)  যাকে  তাদের  বিরুদ্ধে  যুদ্ধে  নামার  আহবান  জানায়  সে  কি  মুসলমান  হতে  পারে ?

মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

মহাবিশ্বের  সকল  বস্তুর  শ্রষ্টা  একমাত্র  আল্লাহ ।  সুতরাং  এই  সকল  বস্তুর  মূল্য  নির্ধারণের  অধিকার  একমাত্র  তাঁহারই আছে ।  আল্লাহ  তায়ালা  সোনা  এবং  রূপাকে  সবচেয়ে  মূল্যবান  বস্তু  ঘোষণা  করিয়াছেন ।  আপনি  এক  টুকরা  কাগজে  কিছু  রঙ  মাখিলেন  এবং  একটি  নাম্বার  দিলেন ।  তারপর  ইহাকে  ঘোষণা  করিলেন  এক  হাজার  টাকা (ডলার / রিয়াল)  হিসাবে । ইহার  চাইতে  বড়  প্রতারণা  এবং  খোদাদ্রোহীতা (শিরক)  আর  কি  হইতে  পারে ? 
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

ইমাম  মাহদী (আঃ)-এর  আগমন  সম্পর্কে  আল্লাহর  রাসুল  (সাঃ)  যাহা  বলিয়াছেন,  সে-সব  বিশ্লেষন  করিয়া  যদি  কেউ  ভবিষ্যৎবাণী  করে  তাহাকে  আমি  খারাপ  মনে  করি  না ।  আমি  মনে  করি  আগামী  বিশ  হইতে  পঁচিশ  বছরের  মধ্যে  তাহার  আত্মপ্রকাশের  প্রবল  সম্ভাবনা  আছে ।  আমি  এভাবে  সরাসরি  বলিবার  কারণ  কেউ  যেন  হাস্যকরভাবে  ঘোষণা  না  করে  যে,  ইমাম  মাহদীর (আঃ)  আসিতে  এখনও  পাঁচশ  বছর  বাকী  আছে ।
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস


"If You Choose To Seek Guidance From Sources Other Than The Blessed Qur'an,
With Policies Other Than Those Permitted By Allah Most High, You Will Pay A Terrible Price For Your Mistake.
Imran Nazar Hosein

আদর্শ  মুসলিম  গ্রামের  রূপরেখা 
(আফগানিস্তান-আলজেরিয়া-মিশরে)  অনেকেই  বৃহত্তর  রাষ্ট্রীয়  পর্যায়ে  ইসলাম  প্রতিষ্টার  চেষ্টা  করিয়াছেন  কিন্তু  সফল  হইতে  পারেন  নাই ।  কেননা  এখনকার  দুনিয়া  যাহারা  নিয়ন্ত্রন  করেন,  তাহারা  ইহা  হইতে  দিবে  না ।  বৃহত্তর  পরিসরে  ইসলাম  কায়েমে  সফলতা  পাওয়া  যায়  না  বিধায়  ক্ষুদ্রতর  গ্রাম  পর্যায়েও  ইসলাম  বাস্তবায়নের  চেষ্টা  করিব  না  তাহা  হইতে  পারে  না ।  আমরা  দাজ্জালের  প্রভাবিত  বড়  বড়  শহরগুলি  হইতে  অনেক  দূরে  অবস্থিত  গ্রামগুলোতে  নবীজির (সাঃ)  সুন্নাহ  বাস্তবায়নের  মাধ্যমে  ইসলামী  পরিবেশ  ফিরিয়ে  আনতে  পারি ।  আমাদের  আদর্শ  মুসলিম  ভিলেজে  লেনদেন  হইবে  নবীজির (সাঃ)  সুন্নাহসম্মত  স্বর্নমুদ্রা  এবং  রৌপ্যমুদ্রার  বিনিময়ে ।  এখানে  প্রতারনামূলক  হারাম  শিরকযুক্ত  কাগজের  মুদ্রা  ব্যবহৃত  হবে  না ।  আপনি  কি  পুলিশ  দিয়ে  স্বর্নমুদ্রা-রৌপ্যমুদ্রা  ক্রোক  করিয়া  নিয়া  যাইবেন ?  অসুবিধা  নাই,  সেক্ষেত্রে  আমরা  চাল  এবং  গমের  বিনিময়ে  ক্রয়-বিক্রয়  করিব ।  আপনি  কি  চাল-গমও  নিয়া  যাবেন ?  স্টুপিড  নাকি ?  বাজারে  যখন  দীনার-দীরহাম  অর্থাৎ  স্বর্নমুদ্রা-রৌপ্যমুদ্রার  অভাব  দেখা  দিত,  তখন  সাহাবায়ে  কেরামগণ  খেজুর  এবং  খোরমার  বিনিময়ে  ক্রয়-বিক্রয়  করিতেন ।  তবে  তরমুজ-বাঙির  বিনিময়ে  লেনদেন  করা  যাইবে  না ।  কেননা  মুদ্রা  হিসাবে  কেবল  সে-সব  পণ্যই  ব্যবহার  করা  জায়েজ,  যেগুলিকে  দীর্ঘদিন  গুদামে  সংরক্ষন  করিয়া  রাখা  যায় ।  মুসলমানদের  সচেতনতার  দুরবস্থা  দেখিলে  ধিক্কার  দেওয়া  ছাড়া  কোন  উপায়  নাই ।  আমরা  অনেকেই  জানি  না  যে,  আমেরিকার  অধিকাংশ  প্রদেশে  স্বর্নমুদ্রার  ব্যবহার  আইনসম্মত ।  এমনকি  ইসরাঈলেও  স্বর্নমুদ্রার  ব্যবহার  বৈধ,  সেখানে  আপনি  সোনার  মুদ্রা  দিয়া  যে-কোন  কেনাকাটা  করিতে  পারিবেন ।  আদর্শ  মুসলিম  গ্রামের  মসজিদ  তৈরী  হইবে  মুসলমানদের  দান  করা  মাটি-ইট-বাশ  দিয়া,  তাহাতে  কোন  কাগজের  মুদ্রার  দান  গ্রহন  করা  হইবে  না ।  আমাদের  মুসলিম  ভিলেজ  মসজিদে  পুরুষদের  মতো  মুসলিম  নারীদের  নামায  এবং  অন্যান্য  ইবাদত  বন্দেগী  করিবার  অধিকার  থাকিবে ।  মহানবী (সাঃ)  বলিয়াছেন,  “মসজিদে  পুরুষদের  জন্য  সর্বোত্তম  কাতার  হইল  প্রথম  কাতার  এবং  নারীদের  জন্য  সর্বোত্তম  কাতার  হইল  শেষ  কাতার” ।  কেননা  মহিলারা  যদি  প্রথম  কাতারে  দাড়ায়  তবে  পুরুষদের  নামাযে  মনোযোগই  থাকবে  না, হা-হা-হা- ।  আমাদের  আদর্শ  মুসলিম  গ্রামে  যে-সকল  মুসলিম  নারীরা  বসবাস  করিতে  আসিবেন,  তাহাদের  জন্য  স্বামীর  প্রয়োজন  আছে ।  কাজেই  যেই  সকল  মুসলিম  পুরুষ  আমাদের  আদর্শ  গ্রামে  বসবাস  করিতেন  চান,  তাহাদেরকে  আমরা  স্বাগত  জানাই ।  কিন্তু  তাহাদের  জন্য  মোবাইল  এবং  ল্যাপটপ  ব্যবহার  করা  নিষিদ্ধ ।  কেননা  মোবাইল  এবং  ল্যাপটপের  ওয়ারলেস / ওয়াইফাই  রেডিয়েশান  পুরুষদের  শুক্রাণুর  ক্ষতি  করিয়া  থাকে ।  ফলে  তাহারা  কেবল  কন্যা  সন্তান  জন্ম  দিতে  থাকে ।  পুত্র  সন্তান  জন্ম  দিতে  অক্ষম  হইয়া  পড়ে ।  কাজেই  আমাদের  আদর্শ  মুসলিম  গ্রামে  পুরুষদের  জন্য  মোবাইল / ল্যাপটপ  ব্যবহার  নিষিদ্ধ । 
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস
দাজ্জাল  আমাদের  অনেক  মুসলিম  বোনের  ব্রেনওয়াশ  করিয়া  দিয়াছে ।  ফলে  তাহার  এখন  পুরুষদের  মতো  বড়  বড়  ডিগ্রী  দরকার,  বড়  বড়  চাকুরি  দরকার,  চাকরিতে  বড়  বড়  প্রমোশন  দরকার  ইত্যাদি  ইত্যাদি ।  এইগুলিকে  সে  তাহার  জন্মগত  অধিকার  মনে  করে ।  কাজেই  সে  এখন  পুরুষদের  সাথে  কমপিটিশন  দিয়ে  বড়  বড়  ডিগ্রী  নেয়,  পুরুষদের  সাথে  ধাক্কাধাক্কি  করিয়া  রোজ  অফিসে  আসা-যাওয়া  করে ।  তারপর  ক্লান্ত-শ্রান্ত  হইয়া  বাসায়  আসিয়া  ঘুমাইয়া  পড়ে ।  স্বামী-সন্তানের  প্রতি  এখন  দ্বায়িত্ব  পালন  করা  তাহার  পক্ষে  অসম্ভব ।  নিজের  শিশু  সন্তানকে  কাজের  মেয়ে  অথবা  ডেকেয়ার  সেন্টারে  কাঁদিয়ে  রেখে  অফিসে  চলে  যায় ।  মায়ের  কাছে  থাকা  যে  শিশুর  অধিকার  তাহা  সে  স্বীকার  করে  না ।  তাহার  নিকট  তাহার  শিশুর  অধিকারের  চাইতে  তাহার  নিজের  অধিকার  বেশী  গুরুত্বপূর্ণ ।  কিন্তু  বোন  আপনি  একটি  কথা  মনে  রাখিবেন ।  আল্লাহ  বলিয়াছেন,  প্রতিটি  কাজেরই  একটি  ফলাফল  আছে ।  একদিন  আপনার  চাকুরি  থাকিবে  না,  আপনার  শরীরের  শক্তি  থাকিবে  না ।  আপনি  বৃদ্ধ,  দুর্বল  আর  অসহায়  হইয়া  পড়িবেন ।  পক্ষান্তরে  আপনার  অসহায়  শিশু  সন্তান  যুবক-যুবতী  হইবে,  শক্তিশালী  হইবে,  চাকুরি  নিয়ে  ব্যস্ত  হইয়া  পড়িবে । সে  তখন  আপনাকে  ঝামেলা  মনে  করিয়া  বৃদ্ধাশ্রমে  ফেলিয়া  আসিবে ।  আপনি  তখন  চোখের  জলে  বুক  ভাসাবেন  যেভাবে  আপনার  শিশু  সন্তান  বুক  ভাসাইত ।
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

প্রশ্ন ঃ  আপনি  তো  মনে  করেন  পারমাণবিক  অস্ত্রধারী  আমেরিকা  এবং  রাশিয়ার  সেনাবাহিনীই  ইয়াজুজ  মাজুজ  এবং  তাদের  পারমাণবিক  ক্ষেপনাস্ত্রগুলিই  ইয়াজুজ  মাজুজের  তীর ।  এখন  কথা  হইল  আমেরিকা  এবং  রাশিয়া  কখনো  যুদ্ধ  লাগিলে  তাহারা  একে  অপরের  দিকে  তীর  নিক্ষেপ  করিবে ।  কিন্তু  হাদীসে  তো  বলা  হইয়াছে  ইয়াজুজ  মাজুজ  আকাশের  দিকেও তীর  নিক্ষেপ  করিবে ।  আপনার  কাছে  ইহার  কি  ব্যাখ্যা  আছে ?
উত্তর ঃ  প্রকৃতপক্ষে  এখনকার  দিনে  যুদ্ধকৌশলের  অধিকাংশই  নিয়ন্ত্রিত  হইয়া  থাকে  মহাশূণ্যে  স্থাপিত  মহাকাশযান  বা  স্প্যাস  সেটেলাইট  থেকে ।  কাজেই  আসন্ন  সেই  মহাযুদ্ধে  বিজয়ী  হওয়ার  জন্য  আমেরিকা  এবং  রাশিয়া  প্রথমেই  আকাশে  স্থাপিত  প্রতিপক্ষের  সেটেলাইটগুলোকে  ধ্বংস  করিবার  জন্য  ক্ষেপনাস্ত্র  (তীর)  নিক্ষেপ  করিবে । (ইতিমধ্যেই  চীন  ক্ষেপনাস্ত্রের  আঘাতে  মহাশূণ্যযান  ধ্বংস  করিবার  পরীক্ষা  চালাইয়া  সফলতা  লাভ  করিয়াছে ।)
মূল -  শাইখ  ইমরান  নজর  হোসেন
অনুবাদ বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস

No comments:

Post a Comment